সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ হত্যার উদ্দেশ্যে দেবরের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ করা মামলায় ভাবি ফাতেমা আক্তার সুমার জামিন আবেদন খারিজ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহর আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে কারাগারে আটক আসামি ফাতেমা আক্তার সুমার পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
এদিকে গত ২৬ ডিসেম্বর দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামি ফাতেমা আক্তার সুমাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ফের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন শাহবাহ থানার উপপরিদর্শক অমোল কৃষ্ণ দে।
এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামি ফাতেমার জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর আসামি ফাতেমা আক্তার সুমাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন শাহবাহ থানার উপপরিদর্শক অমোল কৃষ্ণ দে। এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়ার আদালত আসামি ফাতেমার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার বাদীর ছোট ভাই ভুক্তভোগী সামিউল স্টিলের প্লেনসিটের দোকানে চাকরি করেন। সে তার বেতনের টাকা ভাবি ফাতেমার কাছে জমা রাখতেন। গত ৯ নভেম্বর সামিউল কেরানীগঞ্জের বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হলে আসামি ফাতেমা তাকে ফোন দিয়ে জানায়, সে বঙ্গবাজার কেনাকাটা করে পীর ইয়ামেনি মার্কেটের সামনে যাবে। সেখানে ভুক্তভোগী সামিউলকে তার জমানো টাকা দেবে। এরপর ভুক্তভোগী সামিউল সেই টাকা নেয়ার জন্য পীর ইয়ামেনি মার্কেটের সামনে যায়। তখন আসামি তাকে বলেন, রাস্তায় বসে পাঁচ লাখ টাকা দেয়া ঠিক হবে না। এরপর ভুক্তভোগী সামিউলকে আসামি ফাতেমা পীর ইয়ামেনি মার্কেটের আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়।
সেখানে সামিউলের চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে। পরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুরুষাঙ্গের মাথা কেটে ফেলে। এতে তার পুরা শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। তখন ফাতেমা ভুক্তভোগী সামিউলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পুরুষাঙ্গ কাটা অংশ দেখিয়ে বলে, বিয়ে করবি, তোর বিয়ের স্বাদ মিটিয়ে দিয়েছি। এসময় আসামি ফাতেমা ভুক্তভোগী সামিউলকে বিষয়টি গোপন রাখতে হুমকি দেয়। এরপর ফাতেমা তার অজ্ঞাত ২-৩ সহযোগীকে নিয়ে সামিউলকে সিএনজি করে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা না হওয়ায় তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও চিকিৎসা না হওয়ায় সর্বশেষ আল মানার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
গত ২২ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর আসামি ফাতেমা আক্তার সুমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Leave a Reply